একদিন বয়সের মুরগীর বাচ্চা উৎপাদন ও বিক্রয়কারী বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান
নিজস্ব ইনকিউবেটরে বাচ্চা উৎপাদন
মানসম্মত ডিম উৎপাদন ও সংরক্ষণ
অর্গানিক পদ্ধতিতে গবাদিপশু পালন
অন্যান্য উৎপাদন
আজ-
বর্তমানে খাদ্যের গুনগতমান একেবারেই শূন্যের কোটায়। প্রচলিত বাজারের খাদ্যের দিকে তাকালেই প্রতীয়মান হয় যেমন- মাছে ফরমালিন, সবজিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক, ফলে গ্রোথ হরমোন ও এন্টিবায়োটিক স্প্রে করা যার কারণে কিডনী ফেলিউর, লিভার সিরোসিস, ফুসফুস ক্যানসার, ব্রঙ্ককাইটিস, এ্যাজমা, স্কিন এলার্জি জাতীয় মারাত্মক দূরারোগ্য ব্যাধিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। তাই বিশ্বের শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ রোগ ব্যাধির কথা চিন্তা করে বিষমুক্ত খাদ্যের (অর্গানিক ফুড) প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে। এটা এখন সময়ের দাবী, প্রতিটি মানুষের উচিত বিষমুক্ত খাদ্য (অর্গানিক ফুড) খাওয়া। সকলের জন্য অর্গানিক ফুড এর ব্যবস্থা করতে পারলে খাদ্যে বিষক্রিয়া সংক্রান্ত রোগ বহুলাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব। অর্গানিক ফুড হচ্ছে জৈব খাদ্য যা বিশুদ্ধতার রীতিতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ছাড়াই উৎপাদন করা হয়। যা ভোক্তার কাছে সংরক্ষণ পদার্থ (Preservatives) এবং কৃত্রিম খাদ্যের মূলশক্তি সংযুক্ত ছাড়াই বিক্রয় করা হয়। স্বাস্থ্য পরামর্শকরা বিশ্বাস করেন যে, জৈবিকভাবে উৎপাদিত খাদ্য বিকল্প স্বাস্থ্য সেবামূলক ব্যবস্থা যা নিরাপদ ও অধিক পুষ্টিগুন সম্পূর্ণ। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত অর্গানিক ফুড খাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া। যে সকল খাদ্য উৎপাদনে কীটনাশক, এ্যান্টিবায়োটিক, রাসায়নিক সার ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় এই সকল খাদ্য গ্রহনের ফলে মানব শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আস্তে আস্তে রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ে। মানব শরীরে এর সূদুরপ্রসারী প্রভাব থাকে। খাদ্য বিষক্রিয়া করে এমন ব্যাকটেরিয়া- ই-কোলাই, সালমোনেলা, সিগালা, ভিব্রিও কলেরী, ব্যাসিলাস, ভাইরাস- নরোভাইরাস, রোটাভাইরাস এবং কিছু কিছু প্যারাসাইটের টক্সিন যাহা মানবশরীরে সুপ্ত অবস্থায় থাকে এবং পরবর্তিতে যাহা গুপ্ত ঘাতক হিসেবে কাজ করে। ফলে মানব শরীর ব্যধিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। উক্ত জটিল অবস্থা থেকে মুক্তি পেতেই ২০১১ ইং সালের ৫ জানুয়ারী বরগুনা জেলার বেতাগী থানার নিভৃত পল্লীতে বাবা মায়ের আশীর্বাদ বহুমূখী (বিএমএ) ফার্মটি প্রতিষ্ঠা করেন। যাতে করে গ্রামীণ জনপদের অবহেলিত মা ও শিশু, বৃদ্ধ, স্বাস্থ্য-পুষ্টি সেবা বঞ্চিত জনসাধারণের জন্য ভেজাল বিহীন খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি চাহিদা মেটানো যায়। তাছাড়া তরুণ যুবকদের আত্ম-কর্মসংস্থান, বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি সহ দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হয়। এই ফার্মে গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগী, শাক-সবজি এবং ফলমুলসমুহ এন্টিবায়োটিক ও রাসায়নিক সার ছাড়াই উৎপাদন করা হয়। তাই এই ফার্ম-এ পাওয়া যায় ভেজালবিহীন, বিষমুক্ত অর্গানিক খাদ্য।
ডা. মোঃ আব্দুর রহিম খান (ডা. এ আর খান) ১৯৮১ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারী বরগুনা জেলার সদর থানার ছোটগৌরীচন্না গ্রামের সম্ভ্রান্ত খান বংশে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম ডা. আবদুল ওয়ারেছ খান, মাতা মোসাম্মৎ সুরাতননেছা। তিনি বরগুনা জেলার জি.এম মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ১৯৯৬ সালে SSC এবং ২০০১ সালে সৈয়দপুর হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল হতে D.H.M.S কোর্স সমাপ্ত করেন। তিনি বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের ২০০১ সালের D.H.M.S চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষায় বোর্ড ষ্ট্যান্ডের গৌরব অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়় হতে ২০০৮ সালে Bachelor of Homoeopathic Medicine and Surgery (B.H.M.S) ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে Certificate in Medical Ultrasonography (CMU), Trans Vaginal Ultrasonography (TVS), Certificate in Medical Echocardiography (CME), Certificate in Thyroid Medicine (CTM), Color Doppler Ultrasonography (CDU) ইত্যাদির উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হতে Diploma in Medical Ultrasonography (DMU) কোর্স সম্পন্ন করেন। এছাড়াও ICITR হতে X-ray ও ECG এর উপর স্পেশাল কোর্স সম্পন্ন করেন। ডা. এ আর খান ২০১০ সালে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি Master of Public Health (MPH) কোর্স সম্পন্ন করেন এবং ২০১২ সালে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি Master of Science (Ms. in Microbiology) অর্জন করেন। Ms. in Microbiology অধ্যয়নকালে Thesis-এ হোমিওপ্যাথি ঔষধের Sensitivity গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেন। একজন সফল চিকিৎসক এবং লেখক হিসেবে তিনি একাধিক স্বর্ণপদক ও গুনীজন সম্মাননা পদকে ভূষিত হন। তিনি উত্তরা হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং ফেডারেল হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এ অধ্যাপনাকালে যথেষ্ট সুনামের অধিকারী হন। তাঁর লেখা চিকিৎসা বিষয়ক এসেন্স মেটেরিয়া মেডিকা ও এসেন্স কেইস টেকিং মেথড এন্ড প্যাথলজী। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ এসেন্স হোমিওপ্যাথি মেডিকেল সেন্টার ও ডা. এ আর খান হাসপিটালে কনসালটেন্ট হিসেবে সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য ২০১০ সালে ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশন এবং উন্নত বিশ্বের মত চিকিৎসা সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০১৩ সালে ডা. এ আর খান হাসপিটাল প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও তিনি বহুল প্রচলিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকা “ দৈনিক আমার সময়” ও জাতীয় সাপ্তাহিক “ সাপ্তাহিক এসেন্স বার্তা” এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক। তিনি জনসচেতনতার লক্ষ্যে বিভিন্ন জটিল ও দূরারোগ্য রোগ সম্পর্কে বাংলাদেশ বেতার সহ বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে বিশেষ আলোচনা রাখছেন। ডা. এ আর খান একজন উদীয়মান প্রথিতযশা সফল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, লেখক, গবেষক ও স্বাস্থ্যবিষয়ক আলোচক। তিনি বাংলাদেশ তথা গোটা বিশ্বে আদর্শ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গবেষণা, প্রচার-প্রসার ও হ্যানিম্যানিয়ান চিকিৎসক গড়ার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।